বিশেষ প্রতিবেদক:

কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের হামজার ডেইল এলাকায় রাফি নামে ৪ বছরের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুকে ঘিরে গুজব ছড়িয়ে ফায়দা লুটতে মরিয়া একটি কুচক্রী মহল। মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে নিহত শিশুর পরিবারের সাথে সম্পর্কিত এক যুবককে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। এঘটনায় শঙ্কিত ভুক্তভোগী যুবক এরশাদ উল্লাহ।

সূত্র জানিয়েছে- গত ২৬ জানুয়ারী (বুধবার) বিকেলে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি। দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যা ৬টায় শিশুটিকে বাড়ির পাশের একটি ময়লার গর্ত থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ এবং উদ্ধার হওয়ার মধ্যবর্তী সময়ে অতি উৎসাহী কেউ কেউ একেওকে সন্দেভাজন হিসেবে অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালালে এক ধরণের ধুম্রজাল ও গুজবের সৃষ্টি হয়। যার ভুক্তভোগী হচ্ছেন পাশ্ববর্তী এলাকার যুবক এরশাদ উল্লাহ।

জানা যায়- এরশাদ উল্লাহ নিহত শিশুটির পরিবারের সাথে পূর্ব পরিচিত। কিন্ত স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল এরশাদ ও নিহত শিশুটির পরিবারের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করতে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে গুজব ছড়িয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খোদ নিহত শিশুটির পিতা রফিকুল ইসলাম। তিনি প্রতিবেদককে জানান- ‘আমার সন্তানকে কেউ হত্যা করেনি। দুর্ভাগ্যবশত বাচ্চাটি ময়লার গর্তে পড়ে মারা গিয়েছে। এটা নিয়ে অহেতুক একে ওকে দোষারোপ করে গুজব ছড়ানোটা অত্যন্ত নোংরা কাজ’। তিনি প্রতিবেশি সহ সবাইকে এধরণের মিথ্যা অপপ্রচার থেকে দুরে থাকার অনুরোধ জানান।

গর্ত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছিলেন প্রতিবেশী আবুল বশর (৫৫)। তিনি জানিয়েছেন- ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি অবগত আছেন। শিশুটিকে কেউ হত্যা করে থাকতে পারে এমন ধারণা সঠিক নয়। তবে এক যুবককে ঘিরে যে গুজব উঠেছে তা মূলত একটি ভুল বুঝাবুঝি থেকে। মূলত শিশুটি দুর্ভাগ্যবশত ময়লার গর্তে পড়ে মারা গেছে। এটার জন্য কাউকে দায়ী করা কোনোভাবেই সমীচীন হবে না।

এবিষয়ে খুরুশকুল ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান ছিদ্দিকী জানান- এটা ঠিক যে নিহত শিশুটির ফুফি এবং গুজবের শিকার যুবক এরশাদ উল্লাহর সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। এবং এটা নিয়ে তাদের মাঝে কিছুটা মনোমালিন্যতাও যাচ্ছে। তাদের নিয়ে পরিষদে একটা শালিসও চলছে। কিন্তু শিশুটির মৃত্যুর সাথে এরশাদ উল্লাহ জড়িত নয়।

শিশু রাফির মৃত্যু ও গুজব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ওসি (অপারেশন) সেলিম উদ্দিন জানান- আমরা খোঁজ নিয়েছি। শিশুটি দুর্ভাগ্যবশত ময়লার গর্তে পড়ে মারা গেছে। তাকে কেউ হত্যা বা ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মেরে ফেলেছে এমন তথ্য সঠিক নয়। কেউ যদি গুজব ছড়িয়ে সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।